স্মার্টফোনের ব্যবহার বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চুরি। তবে আশার কথা হলো চুরি বাড়লেও চোরকে সনাক্ত করার উপায়ও বাড়ছে।এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন আছে।
হোয়ার ইজ মাই ড্রয়েড
হারানো ফোন খুঁজে পেতে ‘হোয়ার ইজ মাই ড্রয়েড’ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অ্যাপ। ফোনটির অবস্থান চিহ্নিত করা, ফোনের তথ্য নিরাপদে রাখার জন্য এতে বিভিন্ন সুবিধা রয়েছে। ফ্রি, লাইট এবং প্রো নামের আলাদা তিনটি সংস্করণ রয়েছে এই অ্যাপের। এসএমএসের মাধ্যমে চুরি যাওয়া ফোনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এতে কমান্ডার নামে একটি অংশ রয়েছে। কমান্ডার সক্রিয় থাকলে অ্যাপ্লিকেশনটির মূল ওয়েবসাইট থেকে ফোনের অবস্থান নির্ণয় করা যায়।
অ্যাভাস্ট
অ্যাভাস্ট অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নিরাপত্তা দেওয়ার অ্যাপ। একই সঙ্গে অ্যান্টিভাইরাস ও ম্যালওয়্যার স্ক্যান করে। এতে অ্যাপ ডিসগুইজার ও স্টেলথ মুড নামে দু’টি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এই অ্যাপটি ব্যবহারকারী চাইলে লুকিয়ে রাখতে পারেন। যদি ফোনটি চুরি হয়ে যায়, তবে অ্যাপ্লিকেশনটি আনইনস্টল করার পদ্ধতিটি বেশ জটিল। হারানোর পরে ফোনটি খোঁজা শুরু হলেই অ্যাপটি আনইনস্টল করা একরকম অসম্ভব। অ্যাপ্লিকেশনটি নিজে থেকেই সিস্টেম রিস্টোর করতে পারে এবং ফোনের ইউএসবি পোর্ট বন্ধ করে দিতে পারে।
প্ল্যান বি
আগে যারা এই ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করেননি তারা ফোন চুরি হওয়ার পরে এই অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে খুঁজতে পারবেন। ফোন হারিয়ে যাওয়ার পরে গুগল প্লে সাইটে গিয়ে প্ল্যান-বি অ্যাপসের ইনস্টল ক্লিক করতে হবে। এরপর অ্যাপটি নিজে থেকেই ইনস্টল হয়ে যাবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে জিপিএস চালু হয়ে যাবে। ফোনটির অবস্থান বের করার পরপরই একটি ই-মেলের মাধ্যমে গুগল ম্যাপের লিংক-সহ ফোনের অবস্থানটি জানিয়ে দেওয়া হবে।
লুকআউট
লুকআউট হলো অ্যান্ড্রয়েড উপযোগী নিরাপত্তা এবং ব্যাকআপ নেওয়ার সফটওয়্যার। এই অ্যাপে অ্যান্টিভাইরাস সুবিধাও পাওয়া যায়। পাশাপাশি ফোনে থাকা নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ও তথ্য ব্যাকআপ নেওয়ারও সুবিধা পাওয়া যাবে এখানে। আর মোবাইল ফোন হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে এসএমএসের মাধ্যমে ফোন লক করে দেওয়া বা অবস্থান চিহ্নিত করার সুবিধাও রয়েছে।
লস্ট ফোন
হারিয়ে যাওয়া ফোন খুঁজে পাওয়ার জন্য অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের মতো একই ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে এখানে। যার মধ্যে রয়েছে এসএমএসের মাধ্যমে ফোন লক করে দেওয়া, ফোনের অবস্থান জানা। আবার ফোনের রিংটোন বাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে, যাতে ওই নম্বরে ফোন করা হলে সেটি খুঁজে পাওয়া যায়। আর এখানে আরও একটি বিশেষ সুবিধা হলো, যে সিম কার্ডটি লাগানো অবস্থায় এই অ্যাপটি ইনস্টল করা হয়েছে, সেটি পরিবর্তন করে অন্য কোনও সিম লাগানো হলে অ্যাপ সেটিংসে উল্লেখ করা নির্দিষ্ট কয়েকটি নম্বরে নতুন সিম নম্বরটি এসএমএস হিসেবে চলে যাবে।