ইউটিউব থেকে অর্থ আয় নিয়ে কিছু টিপস 2016
- নতুন আকর্ষণীয় এবং পরিপূর্ণ একটি ইউটিউব প্রোফাইল তৈরি করুনঃ
একটি ইউটিউব প্রোফাইল তৈরি করুন যা ব্যবহারকারীকে আকর্ষণ জাগাতে সক্ষম হবে। কেনোনা ব্যবহারকারীই হবে আপনার আয়ের মূল উৎস। আর যখন আপনি কোন ভাবে ব্যবহারকারীকে আপনার ভিডিও দেখার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন, তারা হয়তো ভিডিও দেখার পর আরো জানতে বা আরো ভিডিও দেখতে আপনার প্রোফাইল ঘুরে দেখতে যাবে। আর যদি তা পরিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ করা না থাকে তবে পরবর্তীতে আরো ভিডিও দেখার জন্য সাবস্ক্রাইব করতে আগ্রহী হবে না। তবে অতিরিক্ত তথ্য ব্যবহার না করাই ভালো। সংক্ষিপ্ত কিন্তু আকর্ষণীয় প্রোফাইল ব্যবহারকারীদের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য যথেষ্ট।
আপনি যদি মনে করেন প্রফেশনাল ভিডিও না হলে ইউটিউব থেকে আয় করা যাবে না তাহলে তা হবে আপনার ভুল। মোটামুটি কোয়ালিটির ভিডিও এবং ভালো সাউন্ড কোয়ালিটির হলেও আপনি আয় করার জন্য প্রস্তুত। এবং সবসময় যে হাই-ডেফিনেশন (HD) এর ভিডিওই হতে হবে তাও কিন্তু নয়। হলে ভালো কিন্তু নরমালি ভালো কোয়ালিটির ভিডিও হলেও সমস্যা নেই। আর চেষ্টা করতে হবে ভিডিও যেন সাধারণ দীর্ঘের হয়। সাধারণত ৩ থেকে ৮ মিনিটের ভিডিও ব্যবহারকারীরা বেশী পছন্দ করবে। বেশী দীর্ঘের না হলে তাই আপনার জন্যই ভালো।
- ভিডিওতে সাবস্ক্রাইব করুন বাটন যুক্ত করুনঃ
আপনি নিয়মিত ইউটিউব ব্যবহার করে থাকলে অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন অনেক ভিডিওতে ভিডিও এর উপরেই বিভিন্ন মেসেজ দেখায়। যেমন পরের ভিডিও দেখুন বা সাবস্ক্রাইব করুন এবং সেখানে ক্লিক করলে অন্য কোন ভিডিওতে বা চ্যানেলে নিয়ে যায়। আপনিও এরকম বাটন রাখতে পারেন। এগুলোকে মূলত কার্ড বলা হয়। এর মাধ্যমে আপনি আপনার ভিডিওগুলোর ভিউ বাড়াবার পাশাপাশি সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে পারেন। ভিডিও এডিটের অপ্সহন থেকেই এগুলো যুক্ত করতে পারবেন।
- নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুনঃ
আপনি যতো বেশী নিয়মিত ভিডিও আপলোড করবেন ততো বেশী ব্যবহারকারী বাড়তে থাকবে কেনোনা তারা জেনে যাবে তাদের জন্য আপনি নিয়মিত নতুন কিছু নিয়ে আসবেন। ফলে আপনার ভিডিও দেখার জন্যই তারা আপনার চ্যানেলে নিয়মিত হতে চাইবেই। যা আপনার আয় বাড়াতেই কার্যকর। তাই অন্তত সপ্তাহে একটি নতুন ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করুন। হয়তো মাঝেমধ্যে তা কয়েকদিন বেশী লাগতে পারে তাও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
- নিয়মিত শেয়ার করুনঃ
আপনার ফেসবুক বা টুইটার প্রোফাইল বা পেইজে নিয়মিত ভিডিও শেয়ার করুন। এতে আপনার ভিডিওসমূহের ভিউ বাড়তে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। আর অনেক সময় আপনার প্রোফাইল এর শেয়ার থেকে অন্যরাও শেয়ার করতে থাকবে যা আরো ব্যবহারকারী বাড়াতে পারবে। আর চ্যানেলের জন্য আলাদা ফেসবুক পেইজ এবং টুইটার প্রোফাইল রাখতে পারেন। আর চ্যানেলের সাথে মিল রেখে সেগুলোর ডিজাইনও সম্পূর্ণ করতে পারেন। যা আসলেই কার্যকর।
- ব্যবহারকারীদের খুশি করুনঃ
ব্যবহারকারীরা যে শুধু ভিডিও দেখে চলে যাবে তা নয়। সবসময়েই চেষ্টা করুন তাদেরকে খুশি করতে। তাদের যা প্রয়োজন তা যেন আপনার ভিডিওতে অবশ্যই পায়। সেই সাথে তাদের সকল প্রশ্ন বা মন্তব্যের উত্তর দিন। এতে তাদের বিশ্বাস আরো বাড়বে যা বারবার ফিরে আসতে তাদেরকে বাধ্য করবে। আর মনে রাখতেই হবে তারা যতো ফিরে আসবে ততোই আপনার আয় বৃদ্ধি পাবে।
- আপনার ভিডিও সার্চের উপযোগী করুনঃ
আপনার ভিডিও যতো বেশী সার্চে খুঁজে পাওয়া যাবে ততোই বেশী ব্যবহারকারী ভিডিও দেখতে আসবে। তাই সবসময় চেষ্টা করতে হবে সার্চের উপযোগী করে ভিডিও আপলোড করতে। এক্ষেত্রে অন্যদের থেকে ভিন্ন কিন্তু সার্চে ব্যবহার করা হতে পারে এমন টাইটেল দিন। ভিডিও এর ডেসক্রিপশনেও কিওয়ার্ড ব্যবহার করুন এবং কাছাকাছি বেশ কিছু শব্দকে ট্যাগ হিসেবে ব্যবহার করুন। সেই সাথে সঠিক ক্যাটাগরিতে ভিডিও আপলোড করুন। এতে আপনার ভিডিও ব্যবহারকারীরা সহজেই সার্চ করে খুঁজে পাবে এবং আপনার ভিউয়ার বৃদ্ধি পাবে।
- পূর্বের সাথে তুলনা করুনঃ
গতকাল কি হয়েছে এবং আজ কি হচ্ছে, লক্ষ্য করুন। সবসময়েই খুঁজে বের করুন কোন কাজটি বা কোন ভিডিওটি আপনাকে বেশী সফল করে তুলতে সক্ষম হচ্ছে। সেই সাথে কি কারণে আপনি অসফল হচ্ছেন। এসকল বিষয় নিয়মিত লক্ষ্য রাখতে পারলে আপনি আগামীতে আরো সফল কিছু নিয়ে আসতে পারবেন যা আপনাকে অবশ্যই সফল করে তুলতে সহায়ক হবে। তাই নিয়মিত ব্যবধান সমূহে লক্ষ্য রাখুন। সফলতা আসলে কঠিন কিছু না শুধু লক্ষ্য রাখতে পারলেই হয়।